ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোর্টরোডে স্বত্ব দখলীয় জায়গায় উচ্ছেদের বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ॥ উচ্ছেদের ক্ষতি পূরণের দাবী
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৫:২৭ অপরাহ্ণ , ২১ আগস্ট ২০১৯, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 years আগে
সংবাদদাতা ্। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কোর্টরোডে গোলাপ রেষ্ট হাউজের এলাকায় খরিদা স্বত্ব জায়গায় স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন জায়গার মালিক গোলাপ মিয়া সহ অন্যান্যরা। সাংবাদিক সম্মেলনে উক্ত বূমির বৈধ মালিকানা স্বত্ব দখলের বিভিন্ন তুলে ধরে জেলা প্রশাসন কর্তৃক উচ্ছেদের ক্ষতি পূরণের দাবী জানান হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মালিকদের পক্ষে এড.ফরহাদ হোসেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এড. আতিকুর রহমান ।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানান হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌজার কোর্ট রোডে সিএস খতিয়ান নং ১১৩৬,এস এ খতিয়ান নং-১১৬৪,১০৬৫ বিএস খতিয়ান নং -২২০ খারিজা খতিয়ান নং যথাক্রমে ১০৬৮/৭, ৫৩২৪ এর অর্ন্তগতসাবেক ১৪৪২ দাগ এস এ ১৯৭২ দাগ বিএস ৩৭৬৫,৩৭৫৭.৩৭১১ দাগে ৫১.১৮ শতক বাড়ী দোকান ও ভিটি অপরাপর আরো কতেক ভ’ূমি সেবাইয়েত রেবতী মোহন চৌধুরী আইন সম্মত প্রয়োজনে বিক্রয় করলে গোলাপ মিয়া সহ তার ভাই ও বোনেরা ১৯৭২ সালের ২৫ আগষ্ট তারিখে সম্পাদিত ১২ সেপ্টেম্বর সাব কাবলা রেজিষ্ট্রিকৃত ৬০৯৬ দলিল মূলে ক্রয় করেন। পরে গোলাপ মিয়া সহ অন্যান্যরা ১৯৭২ সালে এ ভ’মিতে আর সি সি পিলার দিয়ে বিল্ডিং নির্মাণ করে গোলাপ রেষ্ট হাউজ নামক আবাসিক হোটেল করে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। উপরোক্ত তপছিলের খরিদা ভ’ূমি বাবদ মালিকরা নিজ নামে নাম জারি,জমা খারিজ, নিয়মিত খাজনা পরিশোধ ক্রমে দীর্ঘ ৪৭ বৎসর যাবৎ বৈধ মালিক ও বিনা বাধায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। বিগত বিএস জরিপের সময় উল্লেখিত ভ’মি ২২০ নং বিএস খতিয়ান চ’ড়ান্তভাবে রেকর্ড ভুক্ত হয়।
উল্লেখ ১৯৭৫ সালে জনৈক ধীরেন্দ্র মোহন সাহা এ ভ’মিতে পাকা কনষ্ট্রাকশন কার্যাদী না করার ব্যাপারে কুমিল্লা সাব জজ আদালতে দেওয়ানী ৫/৭৫ নং মোকদ্দমা আনয়ন করলে বিজ্ঞ আদালত দু দফা শুনানী শেষে গোলাপ মিয়াদের পক্ষে রায় দেন।
এরপর গোলাপ রেষ্ট হাউজটি ডেমেজ হয়ে পড়লে ভ’মির বৈধ মালিক গোলাপ মিয়া সহ অন্যান্যরা তা ভেঙ্গে ফেলেন এবং এ ভ’মিতে বহুতল ভবন করার জন্য পৌরসভা কর্তৃক নকশা এবং ফায়ার বিগ্রেড কর্তক অনুমোদন প্রাপ্ত হন যা নির্মাণ অপেক্ষায় রয়েছে। এ ভূমিতে মালিকগণ ৭২ টি টিন শেড দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছেন। উল্লেখিত ভ’মি সর্বশেষ ভ’মি জরিপে ভ’মির রকম পরিবর্তন হয়ে বাড়ি দোকান ভিটিতে রূপান্তর হওয়ায় চট্রগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরে একটি অভিযোগ শুনানী শেষে কতিপয় দরখাস্তকারীকে ২০১৯ সালের ১৮ আগষ্ট অধিদপ্তরের পরিচালক অব্যাহতি প্রদান করেন। এদিকে কতিপয় মহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গত ২০ আগষ্ট জেলা প্রশাসক ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভূমির বৈধ মালিকদের আত্মপক্ষ সমর্র্থনের সুযোগ না দিয়ে তপছিলে উল্লেখিত জায়গায় ৭২ টি দোকান স্থাপনা উচ্ছেদ করেন এতে প্রায় ১ কোটি টাকার মালামাল এবং ১০ কোটি টাকার সুনাম বিনষ্ট হয়েছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনেমালিকরা দাবী করেন। এই উচ্ছেদ অভিযানের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে সে ক্ষতি পূরণের দাবী জানান হয়।সাংবাদিক সম্মেলনে ভূমির মালিক গোলাপ মিয়া সহ অন্যান্য মালিক গণ উপস্থিত ছিলেন ।
আপনার মন্তব্য লিখুন