ভিডিও কনফারেন্সে এমপি শিউলি’র বিরুদ্ধে সম্পদ দখলের অভিযোগে
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৪:৫১ অপরাহ্ণ , ৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 years আগে
প্রতিবেদক ॥জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তার ননদ রুবি ইয়াছমিন। মঙ্গলবার দুপুরে অষ্ট্রেলিয়া থেকে ভিডিও প্রেস কনফারেন্সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন রুবি। এর আগে তিনি শিউলি আজাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। যাতে সংসদ সদস্য হওয়ার পর শিউলি আজাদ তাদের পরিবারের জন্যে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের পৈত্রিক সহায়-সম্পদ গ্রাস করতে তিনি এই ক্ষমতা কাজে লাগাচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়া ওই অভিযোগের কপিও সাংবাদিকদের দেয়া হয়। সংসদ সদস্য হিসেবে শিউলি আজাদের দায়িত্বকালীন এই কয়েক মাসের কর্মকান্ড সাংবাদিকদের অনুসন্ধান করে দেখার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমাদের সহায়-সম্পত্তি বা পরিবারের ওপরই তিনি চড়াও হননি। গোটা এলাকার মানুষ তার কর্মকান্ডে ইতিমধ্যে ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছেন। মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবীদের সঙ্গে তার চলাফেরার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট।
রুবি অভিযোগ করে বলেন, সরাইল বাজারের বিল্ডিংয়ের সকল আয়-দায়, জমিজমার সকল আয়-দায় কেড়ে নেন। পরিবারের সদস্যদের উপর তাঁর দৌরাত্ব ও অরাজকতা অনেকগুনে বেড়ে যায় সংসদ সদস্য হওয়ার পর। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সন্ধানী ক্লিনিকের ২১টি শেয়ারের মধ্যে মরহুম একেএম জাহাঙ্গীর আজাদের নামে ৩টি ও শিউলী আজাদের নামে ৩টি শেয়ার রয়েছে। শিউলী আজাদ তার শেয়ারের টাকা ছাড়াও জাহাঙ্গীর আজাদের ৩টি শেয়ারের টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া সন্ধানী ক্লিনিক ও দোকানসমূহের ভাড়াও জোরপূর্বক নিয়ে যান। সন্ধানী বিল্ডিংয়ে অবস্থিত আজাদ ফার্মেসীর অগ্রিম আঠারো লক্ষ এবং বাবুল ষ্টোর ও মদিনা রেষ্টুরেন্ট থেকে অগ্রিম বিশ লক্ষ টাকাও জাহাঙ্গীর আজাদের মৃত্যুর আগেই শিউলী আজাদ নিয়ে যান। প্রকৌশলী একেএম জাহাঙ্গীর আজাদের মৃত্যুর পরদিন সন্ধানী বিল্ডিংয়ের তিন তালায় অবস্থিত তাঁর রুমে এসে শিউলী আজাদ পৈতৃক সম্পত্তির ওয়ারিশানদের সকল দলিলপত্র, ব্যবসায়িক সকল কাগজপত্রাদিসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও নগদ টাকা তাঁর গাড়ীতে করে নিয়ে যান। একইভাবে সরাইলে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভাড়াও তিনি নিয়ে যাচ্ছেন। সরাইলের মূল বাড়ী বন্ধক রেখে জাহাঙ্গীর আজাদের নামে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড থেকে ষাট লক্ষ টাকা ঋন উত্তোলন করে শিউলী আজাদ তাঁর একাউন্টে ট্রান্সফার করে নেন। ইকবাল আজাদের মা জোবেদা খাতুনের ইচ্ছে অনুযায়ী বাড়ির একটি ঘরের সংস্কার করা হয়েছিলো। শিউলী আজাদ এমপি হওয়ার পর ওই কক্ষে ভাঙ্গচুর করেন এবং তার শ্বশুর আবদুল খালেকের সংরক্ষিত সকল স্মৃতি নষ্ট করে ফেলেন এবং এটা শিউলী আজাদের বাড়ি বলে প্রকাশ করতে থাকেন।
রুবি ইয়াসমিন বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি তার দলের নেতাকর্মীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। আর সেই জন্যেই আমরা আশা করি আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে তিনি দাঁড়াবেন। রুবি সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সিনিয়র সহ সভাপতি এ.কে.এম ইকবাল আজাদের ছোট বোন ও শিউলি আজাদের ননদ।
আপনার মন্তব্য লিখুন