নতুন মাত্রা পত্রিকার অনলাইন ভার্সন (পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

 ঢাকা      মঙ্গলবার ১৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কসবায় গ্রামবাসীর মানববন্ধন।

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১:০১ অপরাহ্ণ , ২৬ মে ২০২১, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

প্রতিবেদক:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামের দুই ভাই রহিজ মিয়া ও ফয়েজ মিয়ার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে গতকাল বুধবার সকালে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার সকালে উপজেলার শ্যামপুর-নিমবাড়ি সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নিহত রহিজ মিয়া ও ফয়েজ মিয়া নিমবাড়ি গ্রামের লাবু মিয়ার ছেলে।
মানববন্ধন চলাকালে বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আলী আজগর, নোয়াব মিয়া, তাজুল ইসলাম, মস্তু মিয়া, সেলিম মিয়া, রতন মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রহিজ মিয়া ও ফয়েজ মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ এ পর্যন্ত হত্যা মামলার দুইজন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যা মামলার সকল আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় আসামীপক্ষ দফায় দফায় হত্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য বাদিপক্ষকে চাপ দিয়ে আসছে। আসামী পক্ষের ভয়ে বাদীপক্ষ এখন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। বক্তারা অবিলম্বে হত্যা মামলার সকল আসামীকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, কসবা উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামের পান্ডুর গোষ্ঠীর সাথে এই গ্রামের কাবিলা গোষ্ঠীর লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জের ধরে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে পান্ডুর গোষ্ঠীর লাবু মিয়ার ছেলে রহিজ মিয়া মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত রহিজ মিয়ার স্ত্রী বাদি হয়ে ২০জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলার ১ নং স্বাক্ষী ছিলেন নিহত রহিজ মিয়ার বড় ভাই ফয়েজ মিয়া।
রহিজ মিয়া হত্যা মামলার আসামীরা (কাবিলা গোষ্ঠীর) দীর্ঘদিন কারাভোগ করে কয়েক মাস আগে আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়িতে আসেন। এরপর থেকে আসামীরা রহিজ মিয়া হত্যা মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য প্রতিপক্ষের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। পান্ডুর গোষ্ঠীর লোকজন রাজী না হওয়ায় গত ১৩ মার্চ শনিবার সকালে কাবিলা গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পান্ডুর গোষ্ঠীর লোকজনের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় টেটার আঘাতে রহিজ মিয়া হত্যা মামলার ১ নং স্বাক্ষী ও রহিজ মিয়ার বড় ভাই ফয়েজ মিয়া-(৬০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এ ঘটনায় পরদিন নিহতের স্ত্রী রেখা বেগম বাদি হয়ে ৩০জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর ভূঞার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, হত্যা মামলাগুলো বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে। গত ১ মাস আগে মামলাগুলো কসবা থানা থেকে সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
আরও পড়ুন
অনুবাদ করুন »