নতুন মাত্রা পত্রিকার অনলাইন ভার্সন (পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

 ঢাকা      শনিবার ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থানা থেকে পালিয়েও রক্ষা পাননি জাতীয় মহিলা পার্টি’র নেত্রী

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৮:০৭ অপরাহ্ণ , ১২ আগস্ট ২০১৯, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 years আগে

সরাইল প্রতিনিধি।। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানাপুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি উপজেলা জাতীয় মহিলা পার্টির আহবায়ক নাজমা বেগমের। প্রায় এক ঘন্টা শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের পর থানা কমপ্লেক্সের পাশেই ছোট দেওয়ানপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে পুলিশ সদস্যরা নাজমাকে ফের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এরআগে গত রোববার সকালে উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের বারজীবিপাড়া এলাকা থেকে কলেজছাত্র ইকরামের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের সময় পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দা নাজমা বেগম ও তার ভাই সাবেক ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে। দুপুরের দিকে কৌশলে নাজমা তার বড় ভাইকে ফেলে থানার ডিউটি অফিসারের রুম থেকে পালিয়ে যায়।
সরাইল থানার ওসি শাহাদাত হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ নিহত ইকরামের লাশ নিয়ে যখন ব্যস্ত সেই সুযোগে নাজমা বেগম থানা কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে যান। আমরা তাকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় এনেছিলাম। তখনও আমরা তাকে আসামি হিসেবে ভাবিনি।
ওসি বলেন, নাজমা পালিয়ে গিয়ে প্রথমেই এই খুনের প্রধান আসামি শিমুলকে ফোন করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তি’র সাহায্যে থানার পাশেই এক বাড়ি থেকে তাকে ফের আটক করে পুলিশ। এ হত্যা মামলায় নাজমা ও তার ভাই সহ পাঁচজন আসামি। সোমবার সকালে আটকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। নাজমা বেগম ও তার ভাই নাজিম উদ্দিনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, পূর্ব পরিকল্পনার মাধ্যমে ইকরামকে খুন করে তার ভাগিনা সহ তিনজন। তারা হলেন, কালিকচ্ছ বারজীবিপাড়ার মৃত রবিউল্লাহ এর ছেলে মো. শিমুল (২৮), সদরের বড্ডাপাড়ার আবুল ফজল ওরফে মজনু মিয়ার ছেলে ইমরানুল হাছান সাদী (১৯) ও কালিকচ্ছ বারজীবিপাড়ার রবিউল্লাহ এর ছেলে সোহাগ মিয়া (২৪)। নাজমা বেগম ও নাজিম উদ্দিন এই খুনের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত বলে নিহতের পরিবারের দাবি।
উল্লেখ্য, রোববার (১১ আগস্ট) সকালে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বারজীবীপাড়া থেকে কলেজছাত্র ইকরামের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে ওই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে ও সরাইল সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। ইকরামের পাশের বাড়ির পাশেই খালার বাড়িতেই থাকতো ইকরাম। রোববার সকালে খালাত বোন লাভলী বেগম বাড়িতে ফিরে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। পরে ঘরের ভেতরে তল্লাশি করে খাটের নিচে একটি বস্তা দেখতে পান। সেই বস্তার মুখ খুলে দেখেন ভেতরে তার মামাতো ভাই ইকরামের মরদেহ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
আরও পড়ুন
অনুবাদ করুন »