দিনমজুরদের ঈদ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৫:১৪ অপরাহ্ণ , ২৬ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগেপবিত্র ঈদুল ফিতরের আমেজ ছুঁয়ে গেছে প্রায় সকলকে। ভোর হতেই সকলের ব্যস্ততা বেড়েছিলো নতুন পোশাক পরিচ্ছেদে নিজেদের মুড়িয়ে নিতে উদ্দেশ্য ঈদ জামাত। নতুন পোশাকের সঙ্গে ফিরনি পায়েস ও নানান বাহারি খাবারের আয়োজন ছিলো প্রায় সকলের ঘরে। চারিদিকে সাঁজ সাঁজ উৎসব থাকলেও ব্যাতিক্রম ছিলো দিনমজুররা। তেমনই একজন ভাদুঘরের দিনমজুর রহিম উদ্দিন, মানুষের পুরাতন হয়ে যাওয়া জুতা পালিশ করার কাজ যার মানুষ যাকে “চামার” বলে অভিহিত করে থাকে।
শহরের টিএরোড এলাকায় ঈদের দিন সকালে ঈদ জামাত শেষে দেখা মিলে দিনমজুর রহিম উদ্দিনের। খোশগল্পে রহিম উদ্দিন বলে, “আমরার আবার ঈদ,এহনো বনি হয় নাই,দেহি কয়ডা টাকা কামান যায়
নি”
কাউতলী এলাকায় রিক্সা নিয়ে যাত্রী অপেক্ষায় থাকা হোসেন আলী বলে, “সকাল সকাল বাইরওই গেছি, আজকা ভালা ইনকাম অইব, পোলাপান ডির লিগ্গা ভালো কুছতা লইয়া যাইতারুম”।
এমন অনেকেই আছে যাদের কাছে ঈদ মানে “ঈদ বলতে কিছুটা বারতি ইনকামের আশা”। আর যা দিয়ে কয়েকটা দিন সচ্ছলতায় কাটানো যাবে। যাদের আবেগ অনুভূতি থাকলেও দায়িত্বের বোঝা তাদের অনুভূতি শূন্য করে রেখেছে।
দিনমজুরদের ঈদ আর স্বাভাবিক দিনের মধ্যে পার্থক্য শুধু “ঈদ জামাত আর মিষ্টিমুখ”। নতুন পোশাক পরিচ্ছেদেও যাদের চাহিদা নেই, পুরনো পোশাকেই নিত্য দিনের পেশায় যাদের পদচারনা। রহিম উদ্দিন/হোসেন আলীর মতোই অনেক দিনমজুরদের দৌড়ঝাঁপ ছিলো ঈদের দিন। যারা নিজেদের ঈদ সাচ্ছন্দ্যে না করলেও নিত্যদিনের পেশার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে আনন্দময় করেছে আমাদের ঈদ।
বছর ঘুরে ঈদ আসে নব আবেশে কিন্তু দিনমজুরদের ঈদ নিত্যদিনের রুটি রুজিতে।
হাবিবুল হক রাজ্জি
আপনার মন্তব্য লিখুন