পথের পাশে পরিশ্রমে সুখ – পাবলো চৌধুরী
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:১২ পূর্বাহ্ণ , ২৮ জুন ২০২৩, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 months আগে
“পরিশ্রমই সৌভাগ্যের প্রসূতি”এই বাক্য ছোটবেলার পড়া। পরিশ্রমে জীবিকা নির্বাহ সুখের হয়, এর প্রমাণ অনেক। সে দিন দুই কিশোরের পরিশ্রম দেখে ভালই লেগেছে। ওরা দুই বন্ধু। কাজ না পাওয়ার বেদনায় বন্দি না হয়ে, হতাশ না হয়ে অথবা বিপথে না গিয়ে দুজনে বুদ্ধি করে পরিশ্রমের পথ বেছে নিয়ে সুন্দরভাবে জীবিকা নির্বাহ করছে।
মসজিদ রোডের অফিস থেকে বের হয়েছি । তীব্র দাবদাহ। হাঁটছি। হঠাৎ দেখলাম রাস্তার পাশে আখের রস বিক্রি করছে দুই কিশোর। গরমে আরামের জন্যই সেখানে গিয়ে দাঁড়ালাম। প্রথমে এক গ্লাস পরে বরফে ঠান্ডা বলে আরও এক গ্লাস। সঙ্গে ছিলেন সাংবাদিক একজন। তিনি দেখলাম পর পর ৩ গ্লাস খেলেন। তার খাওয়া দেখে বুঝলাম গরমটা শুধু আমার নয়, তারও আছে। সাংবাদিকরা যেখানে যায় সেখান থেকেই সংবাদ সংগ্রহ করে। এই গরমের মাঝে সাথে থাকা সাংবাদিক শুরু করলেন তার পেশার কাজ। রস খেয়ে রসাল আলাপ না করে, তিনি রস বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলেন , আয় রুজি কত ? লাভ কত ? বাড়ি কই , ইত্যাদি ইত্যাদি । রস বিক্রেতা উত্তর দিচ্ছে তালে তালে। যা জানলাম, বিক্রেতা দুজন বন্ধু। কোথাও কোন কাজ পাচ্ছিলনা। দুজন তখন কিছু টাকার জোগার করে রস বিক্রির ব্যবসা শুরু করেছে দু মাস যাবৎ। তিন চাকার উপর আখ সাজিয়ে এবং রস তৈরীর মেশিন বসিয়ে তারা পথে পথে রস বিক্রি করে। প্রতিদিন লাভ হয় ১ থেকে দেড় হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। যা লাভ হয় দু জনে ভাগ করে নেয় এবং এ দিয়েই জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে। আমি ভাবছি অন্য কথা। কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে বসা থাকা উঠতি যুবক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সীদের সংখ্যা অনেক। কাজ না করে অনেকে বেকার হয়ে সময় কাটায়, অনেকে খারাপ পথ বেছে নেয়। এ দুই বন্ধু খারাপ পথ বেছে না নিয়ে সৎ রোজগারের পথ বেছে নিয়েছে। কিশোর গ্যাং এর মতো অযথা আড্ডা নেশা ইত্যাদী না করে তারা পরিশ্রম করছে এবং এতেই তারা পেয়েছে সুখের ঠিকানা।
আপনার মন্তব্য লিখুন