নতুন মাত্রা পত্রিকার অনলাইন ভার্সন (পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

 ঢাকা      মঙ্গলবার ১৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লুডু খেলার সাথীদের হাতে যুবক খুন: ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১০:১২ পূর্বাহ্ণ , ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 years আগে

প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণাবড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার ট্রাকচালকের সহযোগী সবুর (২০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বাজিতে মোবাইলে লুডু গেইম খেলার টাকা নিয়েই তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার  মো. আনিসুর রহমান। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান তিনি।

সবুর আশুগঞ্জ উপজেলার চারচারতলা গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে। গত ৫ জুন সকালে চরচারতলা গ্রামের সারকারখানা সড়কে একটি  ট্রাক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটায় নিহতের মা হনুফা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

এসপি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, মামলাটি প্রথমে আশুগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শীবাস চন্দ্র দাস তদন্ত করেন। পরবর্তীতে আসামি গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য মামলাটি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই মো. সোহেল কামালের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ক্লুহীন এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে অনুসন্ধানের জানা যায়, চরচারতলা গ্রামের নিলু মিয়ার ছেলে মো. সুজন (২৮) এবং একই গ্রামের মো. মান্নানের ছেলে মো. রমজান (২০) হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত।

এসপি আরও জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পঞ্চবটি এলাকা থেকে আসামি মো. সুজনকে এবং ৭ সেপ্টেম্বর নরসিংদীর বেলাবো থানার নারায়ণপুর গ্রাম থেকে আসামি মো. রমজানকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আসামিরা হত্যকাণ্ডের বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তারা জানায়, নিহত সবুর প্রায়ই বাজিতে মোবাইল ফোনে লুডু গেইম খেলত সুজন ও রমজানের সাথে। গত ৪ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে রমজান ও সুজনের সাথে ট্রাকে বাজিতে লুডু গেইম খেলেতে বসেন। রাত সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার দিকে লুডু খেলায় সবুরের কাছে হেরে যায় সজুন ও রমজান। পরে সজুন ও রমজান খরচের জন্য সবুরের কাছে কিছু টাকা চান। কিন্তু সুবুর টাকা না দিলে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে সবুরকে ট্রাকের ভেতরে থাকা রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দফতর) মো. আবু সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মেহেদী হাসান, সহাকারী পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আলাউদ্দিন চৌধুরী ও ডিআইও-১ (বিশেষ শাখা) ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
আরও পড়ুন
অনুবাদ করুন »