অনলাইন গেম আসক্তিতে কিশোর ও যুব সমাজ।
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:০৭ অপরাহ্ণ , ১৫ জুন ২০২১, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
মোহাম্মদ শাব্বির ॥ অনলাইন গেম আসক্তিতে বাড়ছে মানসিক অসুস্থতা ঘটছে সামাজিক , পারিবারিক সর্ম্পকে অবনিতি সহ নানা দূর্ঘটনা । খেলা-ধুলা, সাহিত্য,সাংস্কৃতিক, ,শিক্ষা, লাইব্রেরী,গবেষনা অঙ্গণে কমছে শিশু-কিশোর ও যুব সমাজের অংশ গ্রহন ।ইদানিং শিশু-কিশোরদের পাশাপাশি যুবকদেরও অনলাইন গেম আসক্তিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে শহর থেকে গ্রামে সব জায়গায় অনলাইন গেমের মাধম্যে ছড়িয়ে পরছে জুয়ার বানিজ্য, আইন শৃঙ্খরা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ধরা পড়ছে অনেকে । ব্যবসায় শেখ রাসেল বলেন,আমরা বন্ধুরা একসাথে আড্ডা দিলে অনেক দুষ্টামি করতাম, মজা করতাম,লেখাপড়া ,ব্যবসা বাণিজ্য সহ নিজেদের বিভিন্ন সপ্ন সুখ-দুখের কথা শেয়ার করাতাম ।এখনকার ছেলে-মেয়েদের আড্ডা শুরু- শেষ হয় গেমে ভার্চ্য়ুাল জগতে যেখানে প্রকাশ হয়না মনের কথা গুলি । যার কারণে তাদের মধ্যে বাড়ছে মানসিক অসুস্থতা হচ্ছে আত্মহত্যার মত ঘটনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মহিলা বলেন ,আমার ছেলের গেম আসক্তির কারণে সে ঠিকমত ঘুমায় না খাওয়া -দাওয়া ,লেখা পড়া করে না তা নিয়ে আমাদের পরিবারে প্রায়ই ঝগড়া হয়।মনোবিজ্ঞানী দের মতে প্রতিনিয়ত এসব গেম খেললে শরীরে এক ধরণের হরমোন নি:সরণ হয়। এতে শিশু সব কিছু নিয়েই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। বাবা মায়ের অবাধ্য হয়ে যায়। মেজাজ খিটমিটে হয়ে যায়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক রোগ শ্রেণীকরণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গেমিংয়ে আসক্ত ব্যক্তি মূলত অন্য সব কিছুর প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলে। এছাড়াকারো সঙ্গে মিশতে না পারা, ঘুম, খাওয়া দাওয়া অনিয়ম তো রয়েছেই।গেম আসক্তি বিশ্বের অনেক দেশেই বড় সমস্যা তৈরি করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার একটা নতুন আইন করেছে যাতে ১৬ বছরের কমবয়সীদের মধ্যরাত থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত অনলাইন গেমস খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।জাপানে যারা খেলে তারা প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট সময়ের বেশি খেললে তাদের সতর্কবার্তা পাঠানো হয়।চীনে টেনসেন্ট নামে বড় ইন্টারনেট কোম্পানি বাচ্চারা কত ঘন্টা ইন্টারনেটে তাদের সবচেয়ে জনপিয় খেলাগুলো খেলবে তার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভিডিও গেমে আসক্তিকে একটা মানসিক অসুখ বলে আখ্যা দিয়েছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন