সত্যতা পাওয়ার ৪ বছর পর সভাপতি-প্রধান শিক্ষককে মাউশি’র শোকজ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:৫৪ অপরাহ্ণ , ২২ অক্টোবর ২০২৩, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
প্রতিনিধি॥ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হওয়া প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিবেদন দাখিল করার ৪ বছর পর এই শোকজ করে মাউশি। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা লিখিত দিতে বলা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি কুতুবউদ্দিন ভূইয়া ও প্রধান শিক্ষক শেখ সাদি। এরমধ্যে কুতুবউদ্দিন ভূইয়া মারা গেছেন।
২০১৮ সালের জুন মাসে জেলা প্রশাসক বরাবর অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সাহের উদ্দিনসহ ৫জন। তৎকালীন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ইশরাতকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত শেষে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক বরাবর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেন।
সেই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সাদী এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কুতুব উদ্দিন ভূইয়া প্রতিষ্ঠানের নামে নতুন ব্যাংক হিসাব খুলে অর্থ আত্মসাৎ ও তছরূপের ঘটনা ঘটিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির একটি ভবন নির্মাণ করছেন দুই কোটি টাকা ব্যয়ে। অথচ এই ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকারি কোনও নিয়ম মানা হয়নি। এই অর্থও লেনদেন করা হয়েছে নতুন ব্যাংক হিসাবে। এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে তদন্তে।
অভিযোগকারী মুক্তিযোদ্ধা সাহের উদ্দিন বলেন, মার্কেটের দোকান বরাদ্দের জন্য ৩০ জন থেকে ৬ লাখ টাকা করে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকে না রেখে অন্য ব্যাংকে রেখে অর্থ খরচ করছেন অভিযুক্তরা। গাছ বিক্রির টাকা ব্যাংকে জমা দেননি। অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হামিদুল হক বলেন, চিঠি পেয়েছি। মাত্র কয়েকমাস হলো দায়িত্ব পেয়েছি।
অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সাদি বলেন, কারণ দর্শানোর চিঠি পেয়েছি। লিখিত ভাবে জবাব প্রদান করবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার হোসেন বলেন, ইমেইলের মাধ্যমে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছি ১৭ অক্টোবর। সঠিক সময়ে লিখিত জবাব না দিলে বা জবাব সন্তোষজনক না হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মাউশি।
আপনার মন্তব্য লিখুন