নতুন মাত্রা পত্রিকার অনলাইন ভার্সন (পরীক্ষামূলক সম্প্রচার)

 ঢাকা      শনিবার ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সময়ে বাবাকে খুব মনে পড়ছে: সৈয়দ সাজ্জাদ মোর্শেদ

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ , ২০ জুন ২০২০, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

সৈয়দ সাজ্জাদ মোর্শেদ সোহান: ” সেদিন বুঝেছিলাম, অসহায় মানুষের চোখের পানি ফেলে, দোয়া নেয়া এতটা সহজ নয়””

আজীবন সংগ্রামী যে মানুষটি এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এস এম হলের ছাত্রদের নেতৃত্ব দিয়ে ৬৯ গন অভুথ্যানে ততকালীন শাসকগোষ্ঠীর হাতে নির্যাতিত হয়ে কারাবন্দী হন, ততকালীন হল ভিপি সৈয়দ মুর্শেদ কামাল। সেই থেকে শুরু হয় সংগ্রামী জীবন!
যুগে যুগে পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় এদেশের গণমানুষের অধিকার আদায়, সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও মানুষের পাশে থেকে স্কুল কলেজ হাসপাতালে রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন তথা মানবিক উন্নয়নে কাজ করে গেছেন আজীবন।

আজ এমন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় আপনাকে মনে পড়ছে বাবা!
১৯৭৩ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, ১৯৮৮ সালের প্রলয়ঙ্কারী বন্যায় যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তা এখনোও লোকমুখে শুনি!
যেমন,,,
— ৮৮ বন্যায় মাচাং বেঁধে দিন পাইর করচিলাম, তহন আতকা একদিন রাইতে নাউ দিয়ে আফনের বাবা ঘড়ের কানিত আইয়া নিজে ২০ কেজি চাউল দিছলেন,সেই চাউল দিয়া ছেলেমেয়ে লইয়া বাঁইচ্চা আছলাম!
—এই বলে সেদিন উড়িয়াইন গ্রামের রহিমে মা অবেগ সামলাতে না পেরে কান্নায় চোখের জল ফেলেন !

তখন নিজেকে খুব অসহায় মনে হল !
যদি এমনি করে মানুষের কাছে যেতে পাড়তাম!

তেমনি নাসিরনগরের বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া, মহল্লায়, কিংবা বিভিন্ন উঠানে কি়ংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে গেলেই যুবক, মুরুব্বি, বয়োবৃদ্ধ সমাজে অনেক স্মৃতিকথা চলে আসে!
কেউবা আমাকে জড়িয়ে দু’ফোটা চোখের জল ফেলে, বলেন এখনো নামাজ শেষে প্রতিনিয়ত তোমার বাবার কথা স্বরনে আসে!
—- বাবার অনেক ঘঠনা স্মৃতি , ইতিহাস, উন্নয়ন, পারিবারিক জীবন সামজিক জীবনের নানান ইতিহাস পর্যায়ক্রমে তুলে ধরব বন্ধু, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের তথ্য মতে, ইনশাআল্লাহ।

আজ এই পবিত্র জুম্মার দিনে বাবার জন্যে দোয়াই চাইছি সবার কাছে। সবাই সবার জন্যে দোয়া করবেন, অহংকার, নিন্দা,হারাম পরিহার করে পরকালের প্রস্তুতি নেয়ার তৌফিক দান করুন —-আমিন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
আরও পড়ুন
অনুবাদ করুন »