কেমন আছে প্রিয় নদী তিতাস–আল আমীন শাহীন
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ২:১৯ অপরাহ্ণ , ২৭ নভেম্বর ২০২১, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
আল আমীন শাহীনঃ কেমন আছে প্রিয় নদী তিতাস, আর ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস পাড়ে অদ্বৈত মল্ল বর্মণের জেলে পাড়ার বর্তমানের রামপ্রসাদ সুবল কিশোর বাসন্তী সহ অন্যান্যরা এই খোঁজখবরের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরী কমিশনের সাবেক পরিচালক (উন্নয়ন) ও সচিব মুহাম্মদ মোফাক্কের এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গোকর্ণ ঘাটে।
——————————————————
পূন্যতোয়া নদী তিতাস এবং এই তিতাস পাড়ে উর্বর মাটিতে জন্ম নিয়েছে অগণিত কৃতি মানুষ। যাঁরা তাঁদের মেধা প্রজ্ঞায় শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ঐতিহ্যকে বিকশিত করেননি, বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে সারা বিশ্বে তুলে ধরেছে। এ জেলার বাঞ্ছারামপুরের কৃতি সন্তান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরী কমিশনের সাবেক পরিচালক (উন্নয়ন) ও সচিব মুহাম্মদ মুফাক্কের , উনার স্ত্রী বিসিক এবং নারী পক্ষের সাবেক প্রকল্প পরিচালক রাবেয়া হোসেন আজ এসেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বেশ কদিন যাবৎ প্রযুক্তিবিদ প্রিয় মারুফ তিষান ফোন করে বলছিলো, “শাহীন ভাই, চাচা আসবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তিনি দেখতে যাবেন অদ্বৈত মল্ল বর্মণের জন্মভিটা, আপনাকে থাকতে হবে।
কেমন আছে প্রিয় তিতাস নদী, কেমন আছে নদীপাড়ে অদ্বৈতের জেলে পাড়ার বর্তমানের রামপ্রসাদ, সুবল কিশোর বাসন্তীরা ,সেই খোজ খবরে কেউ আসছে শুনে মনে ভিন্ন অনুভূতি। সবাই মিলে গোকর্ণ ঘাটে গিয়ে দেখা হলো, জেলেদের মাতবর আমার প্রিয় মানুষ নির্মল মল্ল বর্মণের সাথে। নদী তিতাস , অদ্বৈতের শৈশব কৈশোরের স্মৃতি কথা, জন্মভিটার সন্ধান, এসব নিয়ে কথাবার্তায় বেশ সময় কাটলো। মোফাক্কের ভাইয়ের ছেলে গ্রামীণ ফোনের কের্পোরেট স্ট্র্যাটেজির,সিনিয়র স্পেশালিস্ট মনওয়ার হোসেন সাথে করে নিয়ে এসেছে কালজয়ী উপন্যাস “ তিতাস একটি নদীর নাম “বইটি। দারুণ উৎফুল্ল সে । এখানে সেখানে নদীর পাড়ে জেলে দের বাড়ি গুলো খুটিয়ে খুটিয়ে মিলিয়ে দেখছে। তাঁর অনূভূতি দেখে মনটা আনন্দে ভরে গেল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আসল রূপ সৌন্দর্য ঐতিহ্য কত যে মনজুড়ায় তা বুঝতে পারলাম।
এক পিতা তার সন্তানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনে এখানকার লোক সংস্কৃতির ঐতিহ্য দেখাচ্ছে আর গর্ব করে বলছে এই হলো আমাদের গর্বের ব্রাহ্মণবাড়িয়া। শত বছর আগে এই তিতাসের রূপ এখানকার মানুষের জীবনাচার ঐতিহ্য নিয়ে লিখে সারা বিশ্বে চমক সৃষ্টি করেছেন ঊপন্যাসিক অদ্বৈত মল্ল বর্মণ। সেই রূপ সৌন্দর্য়ের অনেক কিছুই এখনও ঐতিহ্যে ভরা । অথচ এসব সন্ধান না করে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার নেতিবাচক খোঁজ খবরে জেলার ঐতিহ্যকে ম্লান করার ঘৃণ্য প্রবণতা খুবই দুঃখজনক।
মনওয়ার হোসেন একের পর এক ছবি তুলছে এখানে জেলেপাড়ার নির্মল বর্মণের সাথে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা দাঁড়িয়েছেন। পরিদর্শক রাবেয়া হোসেন এসব দেখে বল্লেন, কত কথাইতো শুনি, অথচ এখানে দেখি সম্প্রীতির কোন কমতি নেই।
আমার মনে তখন অন্যরকম সুখ। সম্প্রীতির সংস্কৃতি এখানে ছিল আছে থাকবে, আসলে শ্রদ্ধেয় মুহাম্মদ মোফাক্কের ভাইয়ের মতো এমন শেকড়ের সন্ধানের মানসিকতার অভাব রয়েছে। নিজ জন্মস্থানের প্রতি হৃদ বন্ধনের দায়বদ্ধতার সংস্কৃতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত মোফাক্কের ভাই এবং উনার পরিবার। প্রগাঢ় শ্রদ্ধা সকলের প্রতি। এসময়ে আমাদের সঙ্গ দিয়েছেন মারুফ তিষান,মতিউল কবির,জসিম,কায়েস, রাব্বি আল আমিন সকলের জন্য শুভ কামনা
।
আপনার মন্তব্য লিখুন