অযত্নে শহীদ মিনার পালন হয়নি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৬:১৪ অপরাহ্ণ , ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগেঅবহেলায় অযত্নে শহীদ মিনারটি ভাঙ্গা এই জন্য পালন হয়নি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি।
সায়মন ওবায়েদ শাকিল : অমর একুশে’ আমাদের জাতীয় চেতনা। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি পালন বাধ্যতামূলক হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাড়াই আলহাজ্ব শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ে এবার যথাযোগ্য মর্যাদায় হয়নি অমর একুশে পালন। শহীদ মিনারটি ভগ্নদশা-অবহেলায় পড়ে থাকায় এতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর কেবল শহীদ দিবস-ই নয়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাই কেবল দেশেই নয়, পৃথিবীর অনেক দেশেও যখন দিবসটি পালিত হয় যথাযথ মর্যাদায় তখন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা না জানানো অনেকটা ধৃষ্টতার সামিল বলেই মনে করছেন সচেতন মহল। শুধু তাই নয়, ভাষার মাসে ভগ্নদশা অার অযত্নে পড়ে থাকা বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, একুশের প্রথম প্রহরে দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে দিবসটি শুভ সূচনা করেন। পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সকল সরকারি, আসরকারি, বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন হয়ে থাকে। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকলেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন বাধ্যতামূলক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালন করা হয় আরো গভীর মমতায়। সেস্থলে জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বাড়াই আলহাজ্ব শাহঅালম উচ্চ বিদ্যালয়ে দিবসটির প্রতিপাদ্য পালিত না হওয়ায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সচেতন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিগত ১৯৯৫ সালে বিদ্যালয় স্থাপনকালেই এর অঙ্গনে শহীদ মিনার নির্মিত। পরে বিগত ২০০০ সালে শহীদ মিনারটি পুন:নির্মাণ করা হয়। এসব সত্ত্বেও এবারকার একুশের সকালে ফুলে ফুলে সুশোভিতের বদলে ভগ্নদশা আর অযত্নে-অবহেলায় থাকা বিদ্যালয় অঙ্গনের শহীদ মিনারের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা জানান, শহীদ মিনারটি ভাঙ্গা, এটি অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকায় এতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে না পারাটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ইসহাক ভুইয়া জানান, ‘আমি ঢাকায় বসবাসরত বিধায় বিষয়টি আমার অজানা। তবে ভাষার মাসে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারকে অযত্নে-অবহেলায় রাখা এবং একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করতে না পারা চরম লজ্জা ও অপমানের।বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ‘বিদ্যালয়ে অমর একুশের কর্মসূচি পালিত হয়েছে, তবে শহীদ মিনারটি ভাঙ্গা হওয়ায় পুষ্পস্তবক অর্পণের পর্বটি যথাযথভাবে সমাপন করা যায়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন ভুইয়ার নিকট এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
আপনার মন্তব্য লিখুন